যেভাবে হচ্ছে শুরুঃ


প্রযুক্তির দুনিয়ার সবচেয়ে হট এন্ড স্পাইসি টপিক হচ্ছে হ্যাকিং। যে কোন ব্লগিং সাইটে হ্যাকিং এর কোন লেখা পড়লে কমেন্ট আর ভিজিটিইং দেখে এটা আন্দাজ করা খুব একটা কঠিন না।
প্রথমেই বলে রাখি, হ্যাকিং খুব একটা খারাপ কাজ না। তবে এ দিয়ে খারাপ ইন্টেনশন সফল করা খুব খারাপ কাজ। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে অনেকই প্রযুক্তি নিয়ে তেমন একটা ঘাটাঘাটি না করলেও হ্যাকিং এ তাদের মারাত্নক আগ্রহ।
যেমন আমার ল্যাপটপ ধরেই আমার এক বন্ধু হ্যাকিং ফোল্ডারে ঢুকে যত হ্যাকিং টুলস পেয়েছে সব নিয়ে চলে গেছে! এখানে অনেক কিছুই ও ইউজ করতে পারবে না। আমি কিছুই বললাম না। এর কারন হলো শখ। আর এই শখ প্রথমেই প্রয়োগ হয় বন্ধুর উপর!! তাই সতর্ক থাকুন প্রতি মুহূর্তে!
মজাটা কোথায়?

আমাদের এই দিকে মানে এই দেশে যারাই হ্যাকিং শুরু করে, শুরুটা হয় ফেসবুক, ইয়াহু অথবা জিমেইল একাউন্ট হ্যাকিং দিয়ে। তবে ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করা আজ কাল বেশ কঠিন হয়ে গেছে ফেসবুক পরিচালকদের তৎপরতায়। তারা প্রতিনিয়ত এন্টি হ্যাকিং স্ক্রিপ্ট আপডেট করছে। তবুও বসে নেই হ্যাকাররা! আছে আরো নানান পথ।
আমাদের টেক ওয়ার্ল্ডে যারা আছেন তারা জানেন, কিন্তু যারা কম জানেন তারা হ্যাকিং কথাটা দেখলেই ছেঁচিয়ে উঠেন। কিছু বুঝুক আর না বুঝুক! হ্যাকিং শেখা অনেক জররী একটা বিষয়। আপনি যদি চুরির টেকনিক না জানেন তাহলে চুরি করা ধরবেন কিভাবে? এখন অনেকেই গুগল এডসেন্সসহ নানাভাবে ইনকাম করছেন। আর ফ্রীল্যান্সার হিসেবে ইন্টারনেটে কাজ করে অনেকেই হয়ে উঠেছেন স্বাবলম্বী! তাদের এই কাজ ও ফাইনান্সিয়াল লেনদেন সবই হয় অন লাইনে, মেইল বা এইভাবে। যে জায়গাগুলু হ্যাক হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আপনি যদি হ্যাকিং টেকনিক না জানেন আপনি এটা ধরবেন কিভাবে।
বাহিরের দেশের ছেলে পেলে প্রতিনিয়ত হ্যাক করছে বাংলাদেশী সাইটগুলু! সেদিন দেখলাম ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের একটা সাইট হ্যাক হয়ে আছে। এই কাজগুলু অনেক ক্ষেত্রেই করে থাকেন শখের বসে হ্যাকাররা!
যেমন ফিশিং(পিশিং) দিয়ে যে হ্যাক করা হয় সেটা ফিশিং মানে মাছ ধরার মতই। আপনার জন্য ফেলা হবে চমৎকার একটা টোপ!! আপনি গিলবেন আর ঝুলে যাবেন। তবে পিশিংটা বুঝা অনেক সোজা।



কিভাবে বাঁচবেন ফিশিং থেকে?


আপনি কারো প্ররোচনায় ভুলবেন না! টোপ যতই টোপ হোক একটু কেয়ারফুল হলে টোপ না গিলেই থাকা যায়। যেমন আপনার কাছে ফেসবুকে আপনার বন্ধু একটা মেসেজ পাঠালো, ‘দোস্ত দেখ একটা সাইট! পুরা ফেসবুকের মত। তুই তোর ফেসবুকের মেইল আর পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইনও করতে পারবে। কাউরে কইস না যেনো!!’
আপনি খুশিতে বাকবাকুম হয়ে লগ ইন করে ফেললেন। কেল্লা ফতে!! হারালেন আপনার আই ডি! সেম ইয়াহু আর জিমেইল বা এই টাইপে! কথা হচ্ছে পিশং পা ফিশিং স্ক্রিপ্টগুলু তৈরি হয় উক্ত সাইটের আদলে। তাই বোকা বানানো খুব সহজ। তবে একদন সহজো না। পিশিং স্ক্রিপ্ট সাধারণত আপলোড করা থাকে কোন হোস্টিং সাইটে। তাই আপনি যদি এড্রেস বারের দিকে খেয়াল রাখেন তবে আপনাকে হ্যাক করা প্রায় অসম্ভব!
হ্যাক থেকে বাচতে হ্যাক জানতে হবে!
সেদিন আমি একটা হোস্টিং সাইটের নাম আমার এক বন্ধুকে দিতে গিয়ে দিতে পারলাম না চ্যাটে। মানে ফেসবুক চ্যাট! কারন ফেসবুক জানে এই সাইটে হ্যাকিং স্ক্রিপ্ট আপলোড করা যায়। আবার আপনি যদি মিডিয়াফারায়ে হ্যাকিং স্ক্রিপ্ট আপলোড করতে যান সেটা সচরাচর কাজ করে না!



এই টুইটের লক্ষঃ


এই টুইটের দুইটা লক্ষ্য!
প্রথমত, হ্যাকিং কোন খারাপ কাজ নয়। কারন হ্যাকিং দিয়ে অনেক ভালো কিছু করা সম্ভব। যেটা আমরা দেখেছি জুলিয়ান এসাঞ্জ এর কাছ থেকে। তবে এই হ্যাকিং দিয়ে কখনোই খারাপ কিছু করা উচিৎ নয়। আজ আপনি করবেন। কাল কেউ আপনাকে নিয়ে করবো!!
দ্বিতীয়ত, হ্যাকিং শেখা জরুরী। কারন, আপনাকে কেউ কিভাবে হ্যাক করবে তা জানতে। আপনি যদি অন লাইনে কাজ করে থাকেন। সেখানে আপনার ইনকাম হয়, তাহলেতো কথাই নেই।
শেষ কথাঃ
পিশিং ছাড়াও আরো নানাভাবে হ্যাক করা যায়। তাই জানতে হবে। হ্যাকিং শিখে আপনি গড়ে নিতে পারেন আপনার ক্যারিয়ার। কারন বিশ্বের অনেক জায়ান্ট সাইট তাদের সাইটের হ্যাকিং প্রোটেকশান করতে চড়া দামে রাখেন অনেক হ্যাকার!
তাই জানতে হবে।

0 comments:

Post a Comment

Blogroll

E COMMERCE

BANGLA PAPER

ENGLISH PAPER

Blogger news

About

E COMMERCE

BANGLA PAPER

ENGLISH PAPER