কয়েকদিন হল মুক্ত হয়েছে উইন্ডোজ এর নতুন সংস্করণ এবং তার নাম করন করা
হয়েছে উইন্ডোজ ৮ (Windows 8 ) আর পুর্বের সংস্করণ গুলোর চেয়ে সপূর্ন
আলাদা। উইন্ডোজ এর প্রথম সংস্করণ থেকে উইন্ডোজ ৭ পর্যন্ত বেশ কিছু পরিবর্তন
পাওয়া গেলেও খুব বেশি নয়। তবে উইন্ডোজ ৮ এ বেশ নতুন ধরনের পরিবর্তন
দেখতে পাওয়া গেছে।
কি কি নতুন যুক্ত হয়েছে উইন্ডোজ ৮ এ?
- মেট্রো ইন্টারফেস: উইন্ডোজ ৮ এর নতুন চেহারা। এই চেহারার সম্পর্কেই নিচের ফিচার গুলো পড়তে থাকুন।
- দ্রুত বুট টাইমস: উইন্ডোজ ৭ এর থেকে উইন্ডোজ ৮ আর অনেক তাড়াতাড়ি বুট হবে। তাই কম্পিউটার চালু নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নাই। আমার কোর-টু-ডুয়ো প্রসেসর আগে উইন্ডোজ এক্সপি বুট হতে ৩০ সেকেন্ড লাগতো আর উইন্ডোজ ৭ এ ২০ থেকে ২৫ সেকেন্ড লাগতো কিন্তু উইন্ডোজ ৮ এ মাত্র ১০-১২ সেকেন্ড এর মধ্যেই বুট কমপ্লিট।
- কম মেমরি ব্যবহার করে: উইন্ডোজ ৮ এর দারুণ এই ফিচারটি কারন একসাথে বেশকিছু প্রোগ্রাম চালু করে সেই প্রোগ্রাম গুলে কে মিনিমাইজ আকারে রাখলে সেগুলো থেমে (Stop) যায় তাই অনেক কম মেমরি ব্যবহিত হয়।
- নতুন উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার: দারুণ ভাবে সাজানো হয়েছে উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার কে। প্রয়োজনীয় টুলস গুলো খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারেন।
- ARM প্রসেসর সমর্থন : যা কম শক্তি ব্যাটারির ট্যাবলেট পিসিকে কে দির্ঘস্থায়ি করে রাখবে এই উইন্ডোজ ৮।
- Hyper-V এখন উইন্ডোজ এ: Hyper-V এখন উইন্ডোজ এর একটি অংশ হয়ে গেছে, তাই আপনি এখন খুব সহজেই ও তাড়াতাড়ি আপনার পিসিতে ভার্চুয়াল পিসি বানাতে পারেন।
- উইন্ডোজ লাইভ সংযুক্তি: আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল, মেইল ও আপনার পিসির সকল সেটিংস সমূহ আপনার স্কাইড্রাইভ এ সংরক্ষণ করতে পারেন।
- নতুন টাস্ক ম্যানেজার: আমার মতে এটি দারুণ টাস্কম্যানেজার, কারন এই টাস্কম্যানেজার এ যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু নতুন ফিচার। বিশেষ করে মজার ও কাজের ফিচার হল পুনঃ চালু (Restart) উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার।
উপরের ফিচার গুলো ছাড়াও আরও অনেক ফিচার আছে যা আপনার ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন।
বর্তমানে উইন্ডোজ সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি, বর্তমানে উইন্ডোজ
ডেভেলপার জন্য প্রিভিউ রিলিজ করা হয়েছে। তাই উইন্ডোজ ৮ এর এখনো অনেক কাজ
বাকি আছে। তাছাড়া ৩দিন থেকে আমি উইন্ডোজ ব্যবহার করছি বেশ ভালয় লাগছে
কিন্তু অনেক সমস্যাও খুজে পেয়েছি। তবে চিন্তার কোন কারন নাই এখন থেকে
আপনিও উইন্ডোজ এর ডেভেলপার প্রিভিউ সংস্করণ আপনিও ব্যবহার করতে পারেন।
কি ধরনের পিসি হলে আপনি উইন্ডোজ ৮ ব্যবহার করতে পারবেন?
উইন্ডোজ ৭ এর মতই উইন্ডোজ ৮ এর জন্য একই ধরনের পিসির প্রয়োজন হবে। তাই
চলুন কিছুটা হলেই উইন্ডোজ ৮ এর জন্য পিসির কনফিগারেশন দেখে নেই।
- 1 gigahertz (GHz) or faster 32-bit (x86) or 64-bit (x64) processor
- 1 gigabyte (GB) RAM (32-bit) or 2 GB RAM (64-bit)
- 16 GB available hard disk space (32-bit) or 20 GB (64-bit)
- DirectX 9 graphics device with WDDM 1.0 or higher driver
- Multi Touch Supported screen for using Touch features
উইন্ডোজ ৮ এর ডাউনলোড এর লিঙ্ক (রিজিউম সমর্থন)
- Windows Developer Preview with developer tools English, 64-bit (x64) [Size: 4.8 GB]
- Windows Developer Preview English, 64-bit (x64) [Size: 3.6 GB]
- Windows Developer Preview English, 32-bit (x86) [Size: 2.8 GB]
উইন্ডোজ ৮ ইন্সটল
উইন্ডোজ ৮ কে উইন্ডোজ সেভেন এর মতই রিমোভাল ডিভাইস বা সিডি/ডিভিডি ড্রাইভ দিয়ে ইন্সটল করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ছোট্ট একটি টুলস (USB/DVD Download Tool) এর প্রয়োজন হবে আর সেই টুলটি এই লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিন। এবং আপনার ডাউনলোডকৃত ISO ফাইলটিকে USB/DVD Download Tool দ্বারা ইউএসবি (রিমোভাল) ডিভাইস বা/ডিভিডি তে ডাউনলোড করুণ করুণ উইন্ডোজ ৭ এর মত করেই ইন্সটল করুণ।
উইন্ডোজ ইন্সটল করার পর উইন্ডোজ এর ডিফল্ট ইন্টারফেস হবে মেট্রো
স্টাইল (Metro Style ) যা দেখতে কঠিন সুন্দর। নিচে আপনাদের জন্য কিছু
স্ক্রিনশত তুলে দিলাম।
উইন্ডোজ ৮ নতুন স্টার্ট মেনুঃ
উইন্ডোজ ৮ এর আপ্লিকেশন মেন্যু, যেখানে আপনার ইন্সটলকৃত সকল সফটওয়্যার প্রদর্শিত হবে।
লগ অফ অবস্থায় নিচের ছবির মত থাকবে। তবে মজার সিস্টেম হচ্ছে যদি
স্ক্রিন এর উপরে মাউসের লেফট (বাম) বাটন ক্লিক করে উপর দিকে টান দিলে নতুন
আরও একটি লগইন স্ক্রিন
প্রথম লগইন স্ক্রিনঃ
দ্বিতীয় লগইন স্ক্রিনঃ
উইন্ডোজ ৮ এর ডেস্কটপঃ
উইন্ডোজ ৮ এক্সপ্লোরারঃ
উইন্ডোজ ৮ এক্সপ্লোরার মেন্যুর সম্পাদনাঃ
ফাইল কপি বা মুভ হবে আগের চেয়ে অনেক দ্রুত ও আকর্ষনিও রূপে ঠিক নিচের ছবির মতঃ
কপি চলাকালীন সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ (Pause) করে রাখতে পারেন এবং পুনরায় চালু করতে পারেন।
আরও অনেক নতুন কিছু ফিচার উইন্ডোজ ৮ এ যুক্ত হয়েছে যা আপনাদের সামনে ধীরে ধীরে উপস্থাপন করবো।
0 comments:
Post a Comment